মহাপরিচালক
ড. সেলিনা আক্তার (অতিরিক্ত সচিব)
মহাপরিচালক
মহাপরিচালকের বাণী
পাট বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। উৎকৃষ্ট মাটি ও উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপন্ন হয়। স্বাধীনতার পূর্ব হতেই পাট ছিল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত, যা বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরও দীর্ঘদিন বজায় ছিল। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাট এবং পাট শিল্পের সাথে জড়িত। বিশ্ববাজারে চাহিদার শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ কাঁচাপাট এবং শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ পাটজাত পণ্য রপ্তানী করে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পাট রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। জাতীয় রপ্তানি আয়ে পাটখাতের অবস্থান বর্তমানে একক কৃষিপণ্য হিসেবে দ্বিতীয়। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পাট খাতের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষপটে পাটখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, পাট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং পাটের বৈদেশিক বাণিজ্য তদারকির জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ১৯৫৩ সালে প্রথমে “জুট বোর্ড’ গঠিত হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে ১৯৯২ সালে পাট অধিদপ্তর গঠিত হয়। পাটখাতকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব পাট অধিদপ্তরের উপর ন্যস্ত রয়েছে।
যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে এদেশের পাট শিল্পের উন্নতি সাধন এবং এর সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কারণ বিশ্বব্যাপী প্রচলিত পাটপণ্যের পাশাপাশি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। পাটজাত দ্রব্য পরিবেশবান্ধব বিধায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভবিষ্যতে এর ব্যবহার আরও বাড়বে। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তাগণ দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বহুমুখী পাটপণ্যকে দেশে/বিদেশে জনপ্রিয় করতে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং পাটজাত পণ্যের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং একই সাথে পাট শিল্পের ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বেসরকারী পর্যায়ে পাটকলগুলো লাভের মুখ দেখছে, দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। “ উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ” শীর্ষক প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ফলে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাটচাষীরা পাটচাষে উৎসাহিত হচ্ছে। দারিদ্র্যমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের মধ্যে “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে পাটখাত যথাযথ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
অফিসের ঠিকানা
পাট অধিদপ্তর
৯৯, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন : ০২-২২৩৩৮১৫৪৬
ই-মেইল : dgjute@gmail.com
ওয়েবসাইট: dgjute.gov.bd
দর্শক সংখ্যা
সামাজিক যোগাযোগ